জীবন রহস্যময় !
মনে করেন আপনি জন্ম নেন নাই। যেহেতু নিজের জন্মের উপর আপনার কোন হাত নাই । সেহেতু সে ক্রেডিট আপনি নিতে পারেন না। তো জন্ম না নিলে কি হতো , সেই রকম চিন্তা করেন। জন্ম না নিলে কোন কিছুই আপনাকে স্পর্ষ করতো না। ওজন স্তর ফুটো হচ্ছে ভেবে আপনি আপনার ওজন বাড়াতেন না।
মনে করেন আপনি জন্ম নিয়েছেন । আমার মতো নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে না। উচ্চবিত্ত পরিবারে । ধরেন প্রধানমন্ত্রির ঘরে। সে ক্রেডিটও কিন্তু আপনার না। উচ্চবিত্ত পরিবারে জন্ম নেয়ার ফলে আপনি যে সুবিধা পাচ্ছেন তার কোন কিছুই আপনার না। যে বস্তিতে জন্মালো । সেখানে জন্মানোর ফলে যে দুর্ভোগ ভোগ করতে হচ্ছে। সে দায়ভারও তার না।
ধরনে আপনি যে কোন পরিবারেই জন্ম নিয়েছেন। ছোটকালে আপনার উপর যেহেতু আপনার কোন নিয়ন্ত্র থাকে না সেহেতু আপনার আব্বা আপনাকে এক সকালে ধরে মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দিলো। এবং সারা জীবনের জন্য আপনার চিন্তার প্যাটার্ন চেইঞ্জ হয়ে গেলো । আপনি ধরে নিলেন, ইহায় সত্য, ইহায় জীবন। ধরেন আপনাকে ইংলিশ মিডিয়ামে ভর্তি করিয়ে দেয়া হলো। আপনার চিন্তা অন্য স্রোতে প্রবাহিত হলো। আপনিও মনে করলেন ইহায় সত্য।
ধরেন আপনি বাংলাদেশে না জন্মিয়ে আমেরিকায় জন্ম গ্রহন করেছেন। যেহেতু আল্লাহ কোন দেশের সিল মেরে কাউকে পাঠায় না। তাহলে কেমন হতো। আপনি আপনার চিকে আলতো করে হাত বুলিয়ে বলতেন , ব্যাংলাডেশ, হুয়চ এরিয়া ?
যেহেতু আমাদের জন্ম কোন ধর্মের ভেতর হবে তা আমরা নির্ধারন করি না। সেহেতু ধর্ম বিষয়ক কচকচানি আমাদের মানায় না। ছোটকাল থেকে আমাদের উপর ধর্ম ইমপোজ করা হয়। সেটা করে প্রথমে আমাদের পরিবার তারপর সমাজ আর রাষ্ট্র। এবং বড় হয়ে এই ধর্মের জন্য আমরা রকেট লাঞ্চার মারি। অথচ এক মুসলিম শিশুর জন্ম হতে পারতো এক হিন্দু পরিবারে , এক হিন্দু শিশুর জন্ম হতে পারতো এক খ্রিষ্টান পরিবারে। যে শিশু মুসলিম পরিবারে জন্ম নিলো সে ভাবলো এইটাই সহিহ, যে হিন্দু পরিবারে জন্ম নিলো সে ভাবলো ইহার চেয়ে বড় সত্য আর কিছু নাই, খ্রিষ্টান পরিবারের শিশুও বড় হয়ে ভাবলো গড এর ছেলে যিশু। শুরু হয়ে গেলো ধর্ম যুদ্ধ। অথচ এই ধর্ম আমাদের চয়েজ না। বাচ্চা হাতির পায়ে যেমন দড়ি বেধে ভাবানো হয় তোমার ক্ষমতা দড়িতে সীমাবদ্ধ আমাদেরও ছোটবেলা থেকে চিন্তা সীমাবদ্ধ করে দেয়া হয়। আর এই সীমাবদ্ধ বৃত্তে ঘুরপাক খেতে খেতে আমরা মরে যায়।
দুনিয়াডা রহস্যময় ভাইলোক। তার ভেতর সবচেয়ে বড় রহস্য হলো জন্মরহস্য।
মনে করেন আপনি জন্ম নিয়েছেন । আমার মতো নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে না। উচ্চবিত্ত পরিবারে । ধরেন প্রধানমন্ত্রির ঘরে। সে ক্রেডিটও কিন্তু আপনার না। উচ্চবিত্ত পরিবারে জন্ম নেয়ার ফলে আপনি যে সুবিধা পাচ্ছেন তার কোন কিছুই আপনার না। যে বস্তিতে জন্মালো । সেখানে জন্মানোর ফলে যে দুর্ভোগ ভোগ করতে হচ্ছে। সে দায়ভারও তার না।
ধরনে আপনি যে কোন পরিবারেই জন্ম নিয়েছেন। ছোটকালে আপনার উপর যেহেতু আপনার কোন নিয়ন্ত্র থাকে না সেহেতু আপনার আব্বা আপনাকে এক সকালে ধরে মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দিলো। এবং সারা জীবনের জন্য আপনার চিন্তার প্যাটার্ন চেইঞ্জ হয়ে গেলো । আপনি ধরে নিলেন, ইহায় সত্য, ইহায় জীবন। ধরেন আপনাকে ইংলিশ মিডিয়ামে ভর্তি করিয়ে দেয়া হলো। আপনার চিন্তা অন্য স্রোতে প্রবাহিত হলো। আপনিও মনে করলেন ইহায় সত্য।
ধরেন আপনি বাংলাদেশে না জন্মিয়ে আমেরিকায় জন্ম গ্রহন করেছেন। যেহেতু আল্লাহ কোন দেশের সিল মেরে কাউকে পাঠায় না। তাহলে কেমন হতো। আপনি আপনার চিকে আলতো করে হাত বুলিয়ে বলতেন , ব্যাংলাডেশ, হুয়চ এরিয়া ?
যেহেতু আমাদের জন্ম কোন ধর্মের ভেতর হবে তা আমরা নির্ধারন করি না। সেহেতু ধর্ম বিষয়ক কচকচানি আমাদের মানায় না। ছোটকাল থেকে আমাদের উপর ধর্ম ইমপোজ করা হয়। সেটা করে প্রথমে আমাদের পরিবার তারপর সমাজ আর রাষ্ট্র। এবং বড় হয়ে এই ধর্মের জন্য আমরা রকেট লাঞ্চার মারি। অথচ এক মুসলিম শিশুর জন্ম হতে পারতো এক হিন্দু পরিবারে , এক হিন্দু শিশুর জন্ম হতে পারতো এক খ্রিষ্টান পরিবারে। যে শিশু মুসলিম পরিবারে জন্ম নিলো সে ভাবলো এইটাই সহিহ, যে হিন্দু পরিবারে জন্ম নিলো সে ভাবলো ইহার চেয়ে বড় সত্য আর কিছু নাই, খ্রিষ্টান পরিবারের শিশুও বড় হয়ে ভাবলো গড এর ছেলে যিশু। শুরু হয়ে গেলো ধর্ম যুদ্ধ। অথচ এই ধর্ম আমাদের চয়েজ না। বাচ্চা হাতির পায়ে যেমন দড়ি বেধে ভাবানো হয় তোমার ক্ষমতা দড়িতে সীমাবদ্ধ আমাদেরও ছোটবেলা থেকে চিন্তা সীমাবদ্ধ করে দেয়া হয়। আর এই সীমাবদ্ধ বৃত্তে ঘুরপাক খেতে খেতে আমরা মরে যায়।
দুনিয়াডা রহস্যময় ভাইলোক। তার ভেতর সবচেয়ে বড় রহস্য হলো জন্মরহস্য।
Comments
Post a Comment