Posts

Showing posts from September, 2019

শিশুর বয়স ভিত্তিক যৌন শিক্ষাঃ কি, কেন, কখন, কিভাবে

লেখকঃ শিফা সালেহীন শুভ, ব্লগার, ফ্রীলেন্স গবেষক, অনলাইন এক্টিভিস্ট শিশুর যৌন-শিক্ষা বা সেক্স এডুকেশন নিয়ে আমরা খুবই অনুৎসাহী। শিশুকে সঠিক বয়সে সঠিক যৌন শিক্ষা না দিলে যে তারা নানবিধ সমস্যার সম্মুখীন হয় এমনকি যৌন নিগ্রহের স্বীকার হয় তা অভিবাবকদের বোঝা উচিত এবং এসব বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত। মনে রাখা দরকার আপনি এখন আপনার শিশুকে যা জানাতে সংকোচ বোধ করছেন একদিন তা সে অন্যের কাছ থেকে জানবে, তার মধ্যে থাকবে ভুল, ভ্রান্তি, অভিনয়, কুসংস্কার এবং মিথ্যাও, অনেক সময় জানতে জানতে অনেক বেশী দেরী হয়ে যাবে, তাই আপনার উচিত নিজ দায়িত্বে সঠিক কাজটি, সঠিক উপায়ে, সঠিক সময়ে নিঃসঙ্কোচে করা। শিশুকে কখন, কিভাবে, কি যৌন শিক্ষা দেবেন তার একটা রুপরেখা বিভিন্ন গবেষণার আলোকে নীচে তুলে ধরলামঃ যৌনশক্ষা কিঃ যৌনশিক্ষা হলো যৌন অঙ্গ, যৌন প্রজনন, যৌনাচার, প্রজনন স্বাস্থ্য, মানসিক সম্পর্ক, প্রজনন অধিকার এবং দায়িত্বসমূহ, বিরতি এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি মানব যৌনতা সম্পর্কিত বিষয়ের নির্দেশনা। যৌন শিক্ষার জন্য প্রচলিত পন্থার মধ্যে রয়েছে, পিতা-মাতা বা অভিভাবক, বিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিকতা, এবং জনস্বাস্থ্য প্রচারণা।(

জ্ঞান বিভ্রান্তি (Paradox of Knowledge)

Image
[ইয়োভাল নোয়াহ হারারির নতুন বই Homo Deus – A Brief History of Tomorrow এর ভাবানুবাদের একটি প্রচেষ্টা হচ্ছে নিচের এই সিরিজ। এটি পুরো বইয়ের ভাবানুবাদ নয়। বরং গুরুত্বপূর্ণ ও বেশিরভাগ অংশের সারসংক্ষেপের একটি প্রচেষ্টা] উনিশ শতকের মাঝামাঝি কার্ল মার্কস তার বিখ্যাত তত্ত্ব দেন। প্রোলেটারিয়েট আর পুঁজিবাদীদের মধ্যে শ্রেণী সংগ্রাম অনিবার্য। এই যুদ্ধের শেষ মাথায় শোষিতরাই ক্ষমতায় যাবে। মার্কস প্রায় নিশ্চিত ছিলেন, এ সংগ্রাম শুরু হবে শিল্প বিপ্লবের আঁতুড়ঘরগুলোতে- ব্রিটেন, ফ্রান্স, আমেরিকা। মার্কস ভুলে গিয়েছিলেন পুঁজিবাদীরাও পড়তে পারে। প্রথমে তেমন কেউ মার্কসকে গায়ে লাগায়নি। কিন্তু সমাজতন্ত্রীরা যখন ক্ষমতা পাওয়া শুরু করলো, পুঁজিবাদীরাও নড়েচড়ে বসলো। মার্কসের একই Das Kapital, একই ব্যাখ্যা তারাও ব্যবহার করা শুরু করলো। কঠোর পুঁজিবাদীরাও, যারা উঠতে বসতে মার্কসকে গালি দেন, তারাও মার্কসের এই প্রোলেটারিয়েটদের ক্ষমতায় যাওয়া নিয়ে চিন্তিত। ১৯৬০ এ যখন সিআইএ ভিয়েতনাম আর চিলির অবস্থা বিশ্লেষণ করে, তারা সমাজকে ভাগ করেছিলো মার্কসের মতো বিভিন্ন শ্রেণীতে। যখন নিক্সন বা থ্যাচার পৃথিবীর মানচি

একাত্তরের জেমস বণ্ড

লিখেছেন: রাজেশ পাল আয়ান ফ্লেমিঙ’এর ‘জেমস বন্ড’ বা কাজী আনোয়ার হোসেন এর ‘মাসুদ রানা’ মাতিয়ে রেখেছিলো আমাদের অনেকের শৈশব, কৈশোর আর তারুণ্যকে। মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়তাম তাদের দুঃসাহসিক অভিযানের কাহিনী। সেই উচ্ছাসেই আজ লিখবো একজন রিয়েল লাইফ জেমস বণ্ডের কথা। এই বীর বাঙালি বন্ড তার সর্বশ্রেষ্ঠ অপারেশনে অংশ নিয়েছিলো বাংলাদেশের বাঙালীর ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রান্তিকাল ১৯৭১’এ। মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকটার সময়। পাকিস্তানের দুর্গন্ধী গদিতে তখন পচা গন্ধ ছড়াচ্ছে ক্যালিগুলার মতোই উন্মাদ রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান। মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান আর লাগামহীন বিকৃত যৌন রুচিতে আসক্ত এক রীতিমতো বদ্ধ উন্মাদ। চারদিক থেকে যতো বেশী পরাজয়ের সংবাদ আসে, ততোই দিনদিন বেড়ে যেতে থাকে তার বিকৃতি। সেই চেনা একই সমস্যা, যেমনটা হয়েছিলো হিটলারের লেলিনগ্রাদের দ্বারপ্রান্তে মুখ থুবড়ে পড়ার পরে। কি অদ্ভুত মিল ইতিহাসের অধ্যায়গুলোতে। ইয়াহিয়ার কার্যক্রমের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বিবরণ দিয়েছেন পুলিশ বিভাগের রাওয়ালপিন্ডির বিশেষ শাখার সুপার সি এইচ সরদার। তিনি লিখেছেন: “প্রেসিডেন্ট ভবন ছিল তখন বেশ একটা জায়গা। নানা মানুষ

অনুগল্প - সুখ

জুমার পর মসজিদ থেকে বেরিয়ে সবাই একটু ছড়িয়ে ছিটিয়ে গল্প গুজব করে। দুই ভদ্রলোক কথা বলছেন। অদুরে দাঁড়ানো এক পঙ্গু ফকির কিছু পাবার আশায় জিজ্ঞেস করল এক ভদ্রলোককে - - স্যার, ভালো আছেন? ভদ্রলোক উত্তর না দিয়ে পাশের জনকে বিড়বিড় করে বলতে লাগলেন - - আর ভালো থাকা। ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক সমস্যা, লাভের টার্গেট মাত্র ৮০% পূরণ হইছে, বাচ্চাটাকে আগামী বছর আমেরিকান স্কুলে ভর্তি করতে হবে, বউ একটা অস্ট্রেলিয়া বেড়াতে যেতে তাল করতেছে, গাড়ির ড্রাইভার ঈদের ছুটি কাটিয়ে এখনো ফিরে নাই, ২টা গাড়ি অলস বসে আছে, লোড শেডিং এর জন্য এই গরমে এসিও চালাতে পারতেছি না, শুধু ফ্যান কি যথেষ্ট ....... কেমনে ভালো থাকি বলেন। জীবন অসহ্য হয়ে গেল। হঠাৎ উনার খেয়াল হল, ফকিরটার প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয় নাই। ২ টাকা দিয়ে বললেন, তুমি ভালো আছ? পঙ্গু ফকির মুখ ভরা হাসি দিয়ে বলল , - স্যার, আলহামদুলিল্লাহ। খুব ভালো আছি ! বড়ই বিচিত্র এই ভালো থাকা ! [ Atique Khan ]

বাতাসে আবারও রেকর্ড সংখ্যক কার্বন-ডাই-অক্সাইড, কোন পথে এগোচ্ছে পৃথিবী?

সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদন বলছে বায়ুতে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ আবারও বেড়ে গেছে। এই নিয়ে প্রতিবছর মে মাসে পরপর কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পেতে বর্তমানে বায়ুতে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ রেকর্ড সংখ্যক। গত মাসে (মে-তে) কার্বন ডাই অক্সাইডের গড় মাত্রা ছিল ৪১৪.৭ পার্টস পার মিলিয়ন। যা গত বছরের ওই সময়ের কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণের চেয়ে (৪১১.২ পিপিএম) ৩.৫ পিপিএম বেশি ছিল। আর ১১ই মে, ২০১৯ তারিখে পাওয়া গিয়েছিল বায়ুতে রেকর্ড সংখ্যক কার্বন ডাই অক্সাইড। এই প্রথমবারের মত বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ৪১৫ পিপিএম ছাড়িয়ে গিয়েছিল। মেটেওরোলজিস্ট এরিক হলথাস টুইট করেছিলেন, “এই প্রথমবারের মত মানবেতিহাসে আমাদের গ্রহের আবহাওয়ায় ৪১৫ পিপিএম এরও বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড পাওয়া গেল। এটি কেবল ইতিহাসে সব থেকে বেশি কার্বন ডাই অক্সাইডেরই রেকর্ড নয়, কেবল ১০,০০০ বছর পূর্বে কৃষির আবির্ভাবের পর থেকেই এতি বাতাসের সব থেকে বেশি পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড নয়, বরং আধুনিক মানুষের অস্তিত্বেরও লক্ষ লক্ষ বছর পূর্বেও বাতাসে এত বেশি পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড ছিল না। আমরা এরকম গ্রহ চাইন

মেয়েদের পোশাক এবং ছেলেদের পর্ন দেখাই ধর্ষনের কারন!

বাংলাদেশে গত ৩৬৫ দিনে এমন একটা দিন নেই যে দিনে একটা শিশু, আই রিপিট ‘শিশু’ ধর্ষণ হয়নি! এর কারন হিসেবে যে দুটো কারন সব চেয়ে বেশি চোখে পড়েছে তা হল, পোশাকের জন্য আসলে ধর্ষণ বাড়ছে এবং পর্ণ দেখার কারনে ধর্ষণ বাড়ছে। এক শ্রেণীর বক্তব্য হল, যেহেতু মেয়েরা পর্দা করেনা এবং ছেলেরা পর্ন দেখে তাই ধর্ষণের হার বাড়ছে। প্রথমেই বলি পর্ন নিয়ে। যদি পর্ন দেখাই ধর্ষণের জন্য দায়ী হত, তবে যে দেশগুলো পর্ন বানায় তাদের দেশে ধর্ষণের হার এত কম কেন? ধর্ষণের ইতিহাস একটু পড়লেই জানতেন পর্ন তো মাত্র সেদিন আসল। পর্নগ্রাফী প্রচলিত হবার আগেই ভয়াবহ ধর্ষণগুলো হয়ে গেছে। জার্মানি যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ করে তখন এক কোটিরও বেশি সংখ্যক সোভিয়েত নারী জার্মান সৈন্যদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন। নানচিং গণহত্যা ইতিহাস পড়লেই জানবেন, জাপানীরা কি পরিমাণ চিনা মেয়েদের ধর্ষণ করেছিল। ১৯৯১ শালে কাশ্মীরের কুনান ও পোশপোরা গ্রামে ৩০ জনেরও বেশি নারীকে ভারতীয় সৈন্যরা ধর্ষণ করেছিল বলে অভিযোগ আছে। পাহাড়ে ধর্ষণ তো নতুন না। আর আমাদের ৭১ এ তো পর্ন ছিল না, তো কি কারনে তিন লক্ষ ধর্ষণ হল ? পর্নগ্রাফী মানুষের ফ্যান্টাসি বাড়ায় ক

গুজব আর অন্ধবিশ্বাসে বেড়ে ওঠা এক জাতির ইতিহাস

আমাদের একটা পুরনো ঐতিহ্য আছে; বলতে পারেন এটা আমাদের একটা অর্জনও। “হুজুগে বাঙ্গালী”- শব্দটার সাথে আপনারা অনেকেই কম-বেশী পরিচিত। আমাদের পূর্বপুরষরাও সে ঐতিহ্যকে সযত্নে লালন করে রেখেছিলেন- তাদের কর্মের মাধ্যমে। বাংলায় আমাদের একটি অতি পরিচিত শব্দ আছে- “গুজব” যার ইংরেজীতে অর্থ অনেক- Rumor, Idle Gossip, Bruit এরকম। এসব শব্দকে বিভিন্ন দেশের ভাষাভাষিরা বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার করলেও এর মূলকথা- “গুজব”। গুজবের ইতিহাস অনেক পুরনো- সেই অন্ধকারের সময় থেকেই গুজবের জন্ম। কিন্তু সেসব ইতিহাসে আমার অত বেশী আগ্রহ নেই। আমরা বরংচ আমাদের গুজবের সভ্যতা আর ইতিহাসকেই একটু তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আসুন, তাহলে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস দিয়েই শুরুটা করা যাক্। ৭১’এ এদেশে দুটো পক্ষ ছিলো; একদল বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে এবং অন্যদল স্বাধীনতার বিপক্ষে। যারা স্বাধীনতার পক্ষে ছিলো তারা মূলত এদেশের মানুষের উপর পাকিস্থানের বর্বরতা-অত্যাচার আর স্বৈরতন্ত্রকে মেনে নিতে পারেননি। আর অন্যদল চাচ্ছিলেননা যে- পাকিস্থান ভেঙ্গে যাক। কিন্তু যেহেতু তারা এ বিষয়টিকে এভাবে এদেশের সাধারন মানুষকে বোঝাতে অক্ষম ছিলেন; কারন তাতে সা

দাসত্বের জীবন

কল্পনা করুন তো আপনি কোথাও খাঁচায় বন্দী আছেন… এমন একটা জায়গা যেখানে আপনাকে আরোপিত সব নিয়মকানুন কঠোরভাবে মেনে চলতে হয় কিন্তু আপনি বাক স্বাধীনতা তো দূরের কথা আপনার অধিকারটুকুও দাবি করতে পারেন না, যেখানে আপনার উপর যতই আঘাত আসুক, যতই নির্যাতন হোক না কেন আপনি কোন অভিযোগ করতে পারবেন না, যেখানে সামাজিক ন্যায়বিচারের দাবি করাটা একটা অপরাধ, যেখানে ভুলকে ভুল বা ফুলকে ফুল বলাটাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ, এমনকি আপনার বিচারের প্রহসনে আপনার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। মনে করুন তো, এমন একটা জায়গায় বাস করেন যেখানে প্রতি সকালে ঘরের বাইরে পা রাখার পর থেকেই যেকোনো সময় আপনার উপর নেমে আসতে পারে সম্ভাব্য আঘাত, আপনার বাড়ি অথবা পরিবারের সদস্য যখন তখন আক্রমণের শিকার হতে পারে। চিন্তা করুন তো এমন এমন একটা জায়গায় আপনি বাস করেন যেখানে রাতের বেলা যেকোনো সময় আক্রান্ত হতে পারেন আশঙ্কায় আপনি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারেন না, অথবা কেউ কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ আপনার বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দিলো, যেখানে আপনার তার স্কুলে প্রতিদিনই কোন না কোন সমস্যায় জর্জরিত, যেখানে আপনি কিছু নির্দিষ্ট মানুষকে সম্মান করতে বাধ্য, অথবা কোন সামাজিক রী

জীবন রহস্যময় !

মনে করেন আপনি জন্ম নেন নাই। যেহেতু নিজের জন্মের উপর আপনার কোন হাত নাই । সেহেতু সে ক্রেডিট আপনি নিতে পারেন না। তো জন্ম না নিলে কি হতো , সেই রকম চিন্তা করেন। জন্ম না নিলে কোন কিছুই আপনাকে স্পর্ষ করতো না। ওজন স্তর ফুটো হচ্ছে ভেবে আপনি আপনার ওজন বাড়াতেন না। মনে করেন আপনি জন্ম নিয়েছেন । আমার মতো নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে না। উচ্চবিত্ত পরিবারে । ধরেন প্রধানমন্ত্রির ঘরে। সে ক্রেডিটও কিন্তু আপনার না। উচ্চবিত্ত পরিবারে জন্ম নেয়ার ফলে আপনি যে সুবিধা পাচ্ছেন তার কোন কিছুই আপনার না। যে বস্তিতে জন্মালো । সেখানে জন্মানোর ফলে যে দুর্ভোগ ভোগ করতে হচ্ছে। সে দায়ভারও তার না। ধরনে আপনি যে কোন পরিবারেই জন্ম নিয়েছেন। ছোটকালে আপনার উপর যেহেতু আপনার কোন নিয়ন্ত্র থাকে না সেহেতু আপনার আব্বা আপনাকে এক সকালে ধরে মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দিলো। এবং সারা জীবনের জন্য আপনার চিন্তার প্যাটার্ন চেইঞ্জ হয়ে গেলো । আপনি ধরে নিলেন, ইহায় সত্য, ইহায় জীবন। ধরেন আপনাকে ইংলিশ মিডিয়ামে ভর্তি করিয়ে দেয়া হলো। আপনার চিন্তা অন্য স্রোতে প্রবাহিত হলো। আপনিও মনে করলেন ইহায় সত্য। ধরেন আপনি বাংলাদেশে না জন্মিয়ে আমেরিকায় জন্ম গ্

উলটো স্রোতের ভাষণ!

ইদানীং ভাইরালের যুগ। আমার দুর্ভাগ্য এই যে, বহু কিছু ভাইরাল হয় কিন্তু আমার জানাই হয় না। স্থূল-সস্তা বিষয় যারা সামাজিক মাধ্যমে ছড়ায়, ডানপন্থা-ভিত্তিক আদর্শের যারা ঠিকাদার, আমিন বলে যাবেন না -টাইপ কথাবার্তা যারা বলে তাদের প্রায় অধিকাংশকেই আনফলো করা। আমার আত্মরম্ভিতা থেকে একথা বলছি না, এটা আমি করি নিজে সুস্থ থাকতে। এতকিছুর পরও কদিন হলো নাকি এক রসালো ভিডিও ফেসবুক নামক সিনেমা হলে চলছে। ভাগ্য দেবতা আমার প্রতি তার করুণার হাত প্রসারিত করতে কার্পণ্য করায় সেটি আমাকে জানতে হল আকারে ইঙ্গিতে লেখা কতিপয় কিছু ফেসবুক বন্ধুর পোষ্ট থেকে। সুললিত কারুকার্যময় ভাষায় বন্ধুদের সেসব লেখার পাঠোদ্ধার করতে নেহায়েত কম ঝক্কি যায়নি আমার উপর দিয়ে।  আমার নিজস্ব নির্বুদ্ধিতা আর অপরিপক্বতার দরুণ এ যুগের বহুকিছু জানতে না পারলেও, রোহিঙ্গাদের নিয়ে সাম্প্রতিক একটা লেখাও চোখ এড়ায়নি। এর কারণ, যে মানুষদের মানবতাবাদী হিসেবে জানি, যাদের চিনি উদারপন্থী অসাম্প্রদায়িক মানুষ হিসেবে, যাদের লেখা পড়ে ঋদ্ধ হতে চেষ্টা করি, তারা পর্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে নির্যাতিত নিপীড়িত বঞ্চিত শোষিত, সভ্যতার বল্গাহীন অশ্লীল প্রব

সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই

অর্গানাইজড রিলিজিয়নের মতো উগ্র জাতীয়তাবাদও প্রচন্ড ভয়ঙ্কর। যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নিই যে, অধিকাংশ মানুষই আর প্রচলিত ধর্মে বিশ্বাসী থাকলো না (বর্তমান পৃথিবীতে ২০ থেকে ৩০ ভাগ মানুষ নাকি আর কোনো প্রচলিত ধর্মে বিশ্বাসী নয়), তবুও কি পৃথিবী থেকে হিংসার উন্মত্ততা থামবে?  ইতিহাস থেকে যতটুকু জানা যায় যে, প্রবল জাতীয়তাবাদ এবং আধিপত্যবাদের কারণে এ পৃথিবীতে যতো মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, ধর্মীয় হিংস্রতার কারণে ততো হারায়নি। একমাত্র প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে কোটি কোটি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, তার পেছনের কারণ উগ্র জাতীয়তাবাদ ও প্রবল আধিপত্যবাদ। তাই ব’লে ধর্মীয় বিভেদের কারণে যে কম মানুষ মরেছে সেটা কিন্তু নয়। ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ ধর্মীয় সম্প্রসারণবাদের বলী হয়েছে সবচেয়ে বেশী। ১৯৪৭ সালের দেশবিভাগ কিংবা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে এই বাংলাদেশেরই লাখ-লাখ মানুষ ধর্মীয় বিভাজনের জন্য প্রাণ হারিয়েছেন। সে ক্ষতচিহ্ন এখনও বাংলার অসংখ্য মানুষ বহে বেড়াচ্ছে। অতি সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে এক উগ্র শ্বেতাংগ জাতীয়তাবাদী পবিত্র মসজিদে নামাজরত নিরীহ মানুষকে যে ভাবে

থটস আর অনলি থটস নট ফ্যাক্টস

আজকের লেখার প্রসঙ্গ হল চিন্তা এবং নিজেকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি। আপনি আয়নায় দাঁড়িয়ে যদি দেখেন একটা মোটা কিংবা কালো মুখে কালচে দাগ, কিংবা চোখের নিচে কালি পড়া একটা কুৎসিত মানুষ তবে এই লেখা আপনার জন্য। সাইকোলজিতে একটা কথা আছে ‘ থটস আর অনলি থটস নট ফ্যাক্টস” । এর মানে হল , চিন্তা বিষয়টা মস্তিষ্কের নিউরোনগুলোর তড়িৎরাসায়নিক সংকেতগুলো ছাড়া আসলে আর কিছু না। চিন্তা মানেই বিষয়টা সত্যি এমন না, আর এই চিন্তা নিয়ন্ত্রিত হয় বলে আমরা যা দেখি তা আসলে সত্যি না। আজকের বিষয় মিডিয়া ম্যানুপুলেশন না।কিন্তু এর সাথে মিডিয়া ম্যানুপুলেশন জড়িত বলে প্রথমে মিডিয়া ম্যানুপুলেশন নিয়ে আলোচনা করা জরুরী । মিডিয়া ম্যানুপুলেশন সাথে হয়ত অনেকেই পরিচিত, সহজ করে বললে, এর মানে হল আমাদের চিন্তা এবং মন এই মিডিয়া দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় কিংবা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। উদাহরণ দেই, এই যে মেয়েদের শরীরের এর শেপ ৩৬-২৪-৩৬ হলে সেটা পারফেক্ট বডি, এই কনসেপ্ট আপনি অবশ্যই জানেন, কিন্তু আপনি কিভাবে জানেন? আপনার মাথায় কি করে এল,কে এই মিজারমেন্ট করল আর কেন করল সেটা ভেবেছেন? উত্তর দিচ্ছি, তার আগেএকটু ইতিহাস এর দিকে তাকাই, এই না