এত জাত-ফাত, ছুঁৎ-অচ্ছুৎ, ফর্সা-কালো, ধর্ম-অধর্মের ভেদাভেদ করে লাভটা কী হল?
এত জাতপাত, ব্রাহ্মণ-শূদ্র ছুঁৎ-অচ্ছুৎ, কে গরু খায় আর কে শুয়োর, কে ফর্সা, কে কালো, কে পৈতা পরে আর কে টুপি – এ নিয়ে নিরন্তর মারামারি, কাটাকাটি, দাঙ্গাদাঙ্গির পরে দিনশেষে কী জানা গেল? নাহ আমরা নাকি মূলত তিন ঐতিহাসিক গোষ্ঠীর শঙ্কর – যেভাবেই কড়ি গুনি না কেন, আমাদের জিনের ‘ষোল আনা’র বেশীরভাগই ভরেছে এই তিন দলের আনা-আনা অবদানে। কেউ কম, কেউ বেশী; অঞ্চলের উপর ভিত্তি করে কেউ এর সাথে মিশ খেয়েছে বেশী, কেউ বা ওর সাথে। আমাদের, অর্থাৎ আজকের বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের মত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অধিবাসীদের উদ্ভব ঘটেছে এই তিন জনগোষ্ঠীর মিলনের ফলে – ৫০ থেকে ৭০ হাজার বছর আগে আফ্রিকা থেকে বেরিয়ে এসে ভারতে বসতিস্থাপনকারী প্রাচীন শিকারি-সংগ্রাহক গোষ্ঠী, খ্রিস্টপূর্ব ৫-৭ হাজার বছর আগে পারস্য থেকে আসা ‘চাষাভুষা’ মানুষ আর তারপর খ্রিস্টপূর্ব ১-২ হাজার বছর আগে আফগানিস্তানের উত্তর থেকে আসা ‘পশুপালকদের’ দল। যাক বাবা, আমার ছোটবেলার পাড়ার খালাম্মাদের একটা প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেল এতদিনে, এত বড় বড় গবেষকদের কাজের ফলে! ওনাদের সেই হাহাকার, ‘আহারে আপা আপনার দুইটা মেয়ে কী সুন্দর ফর্সা, বড়টা কালো হইল ক্যাম...